ওয়ান ইলেভেনে সিএমএইচে সুযোগ দিলে প্রধানমন্ত্রী স্কয়ারে যেতেন না: কাদের
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকার আমাদের নেত্রীকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যদি সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) চিকিৎসার সুযোগ দিত তাহলে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেন না। তিনি সিএমএইচেই চিকিৎসা নিতেন। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের। তখন সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মাথাব্যথা নেই। তাদের মাথাব্যথা হলো ইস্যু নিয়ে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে তারা ইস্যু বের করার চেষ্টা করছে। সিএমএইচে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়। একজন সামরিক অফিসারের স্ত্রী হিসেবে তিনি কেন চিকিৎসা নিবেন না এটা আমার বুঝে আসে না। জেলে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতালে এবং মোহাম্মদ নাসিম ল্যাব এইডে চিকিৎসা নিয়েছেন তাহলে খালেদা জিয়া কেন ইউনাইটেড হাসাপতালে নিতে পারবেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকার আমাদের নেত্রীকে যদি সিএমএইচে চিকিৎসার সুযোগ দিত তাহলে তিনি স্কয়ারে চিকিৎসা নিতেন না। তিনি সিএমএইচেই চিকিৎসা নিতেন। ঈদের দিনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপি নেতারা দেখা করতে পারেননি এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্বজনরা যখনই চাইছেন, তখনই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন। ওটা জেলখানা কারো বাসভবন নয়, যে বিএনপি নেতারা যখন-তখন দেখা করতে পারবেন। দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তার পরই ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ, র্যাব সহযোগিতা করেছে। এজন্য তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে সরকারের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা বেটার করতে পেরেছি। অনেক আশঙ্কা, আতঙ্কের পরও ঈদযাত্রা যে এতটা স্বস্তিদায়ক হবে ভাবিনি। সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরাও যুক্ত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমেছে। এ বছর সব মিলিয়ে ৬০-৬৫ জন মারা গেছেন। সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ছিল গতকাল রাতে (রোববার) নীলফামারীর দুর্ঘটনা।